জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক ও নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের জন্য প্রত্যেক বিভাগে একটি করে অফিস নেওয়া হবে। যাতে অর্থের জন্য নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদেরকে ঢাকায় আসতে না হয়। আবার তাদের পরিবারের ফাউন্ডেশনে এসে কেউ যেন খারাপ ব্যবহার না পায়, তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ খারাপ ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) ঢাকায় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।জুলাই আন্দোলনে শহীদদের সংখ্যা সরকারি হিসাবে ৮২৬ জন, তার মধ্যে ৬২৮ জনের পরিবারকে সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। বাকি আছে ১৯৮ জনের শহীদ পরিবার বলে জানিয়ে ফাউন্ডেশনের বর্তমান ব্যাংক হিসাব তুলে ধরেন তিনি। সারজিস আলম বলেন, ব্যাংকে জমা ছিল ১০৯ কোটি ২০ লাখ ২৩ হাজার টাকা। তা থেকে এখনও পর্যন্ত সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে ৪৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। বর্তমানে অ্যাকাউন্টে জমা আছে ৬১ কোটি টাকার মতো। এ আন্দোলনে আহত ১১ হাজার ৩০৬ জনের মধ্যে মাত্র ১৬০১ জনকে সহযোগিসতা দেওয়া হয়েছে। কারণ, আমরা সরকারের কাছে আহতদের একটা লিস্ট চেয়েছিলাম, তারা এটি দিয়েছে।
স্বচ্ছতার জন্য আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসাপত্রে চিকিৎসকদের সত্যায়ন লাগবে জানিয়ে তিনি বলেন, কারণ অনেকে চিকিৎসাপত্র জালিয়াতি করে সুযোগ-সুবিধা নিতে চেয়েছিল। এ মাসে শহীদ পরিবারকে আবারও সরকার ঘোষিত বড় অঙ্কের (৩০ লাখ) টাকা আর্থিক সহযোগিতা করা হবে। আহত অনেকে এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত নয়, কিন্তু তিনিও সুযোগ-সুবিধা নিতে এসেছেন, এমন অভিযোগও রয়েছে বলেও জানান তিনি।